২২ জুলাই, ১৯৮৭। কুয়েত ভিত্তিক পত্রিকা আল-কাবাস এর লন্ডন অফিসের সামনে আততায়ীর গুলিতে ঝাঁজরা হলেন কার্টুন ক্যারেক্টার ‘হানযালা’ র স্রষ্টা প্যালেস্টাইনি কার্টুনিস্ট নাজি আল-আলি। ২৯ আগস্ট পর্যন্ত কোমাতে থাকার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার হত্যাকারীদের সম্পর্কে শুরুতে জানা না গেলেও, পরে ব্রিটিশ পুলিশ ইসমাইল সোয়ান নামে এক প্যালেস্টাইনীকে গ্রেপ্তার করে। সে স্বীকার করে সে একজন ডাবল এজেন্ট, যে একই সাথে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)র হয়ে কাজ করতো।
এতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার এতোটাই ক্ষুব্ধ হন যে লন্ডনে মোসাদের বেইজ স্টেশন বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন ও ইংল্যান্ড থেকে ৩ জন ইসরাইলি ডিপ্লোম্যাটকে বহিস্কার করেন; যাদের একজন ইংল্যান্ডে ইসরায়েলী দূতাবাসের অ্যাটাশে হিসেবে কর্মরত ছিল ও কার্টুনিস্ট নাজি আল আলীর হত্যাকারীদের সহায়তা করেছিল।
২০১৭ সালে এই কেসের ইনভেস্টিগেশন রি-ওপেন হয়।
কিন্তু কে এই নাজি আল আলী? কেনই বা তার আঁকা কার্টুন ক্যারেক্টার “হানযালা” এখনো একইভাবে গুরত্বপূর্ণ?
নাজি আল-আলি: ফিলিস্তিনের সংগ্রামের কণ্ঠস্বর
নাজি আল-আলি (Naji al-Ali) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট, যিনি তাঁর রাজনৈতিক কার্টুনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম, দুঃখ-কষ্ট এবং আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি শুধুমাত্র আরব দুনিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বে পরিচিত ছিলেন একজন শক্তিশালী এবং সাহসী শিল্পী হিসেবে। তাঁর সৃষ্টি ফিলিস্তিনের দখলদারিত্ব, নিপীড়ন এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
জন্ম ও শৈশব
নাজি আল-আলি ১৯৩৮ সালে ফিলিস্তিনের গালিলি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁর শৈশব খুব বেশি দিন সেখানে কাটেনি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের কারণে তিনি তাঁর পরিবারসহ নিজ ভূমি ছেড়ে লেবাননের একটি শরণার্থী শিবিরে চলে যেতে বাধ্য হন। এই শরণার্থী জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা তাঁর কার্টুনের অন্যতম প্রেরণা ছিল।
কার্টুনের জগতে প্রবেশ
নাজি আল-আলির শিল্পজীবনের সূচনা হয় লেবাননের শরণার্থী শিবিরে। তাঁর প্রতিভা প্রথমবার আবিষ্কার করেন ঘাসান কানাফানি, একজন প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি সাহিত্যিক। কানাফানি নাজির আঁকা একটি কার্টুন “Al-Hadaf” পত্রিকায় প্রকাশ করেন। এরপর থেকে নাজির জীবন বদলে যায় এবং তিনি একজন প্রভাবশালী কার্টুনিস্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
হানযালা: প্রতিবাদের প্রতীক
নাজি আল-আলির সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র হলো হানযালা, একটি ১০ বছর বয়সী শরণার্থী শিশু। হানযালা সবসময় তার পিঠ ঘুরিয়ে রাখে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের নিপীড়ন এবং বিশ্ববাসীর উদাসীনতার প্রতীক। নাজি বলতেন, “হান্থালা কখনও বড় হবে না, যতদিন না ফিলিস্তিন মুক্ত হয়।”
হানযালা শুধু ফিলিস্তিনের প্রতীক নয়, এটি নিপীড়িত সব মানুষের প্রতিচ্ছবি। তাঁর কার্টুনগুলো রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং শরণার্থীদের জীবনযুদ্ধকে গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলে।
রাজনৈতিক বার্তা
নাজি আল-আলির কার্টুন সবসময় সরাসরি এবং তীক্ষ্ণ ছিল। তিনি আরব নেতৃত্বের দুর্নীতি, ইসরায়েলের দখলদারিত্ব, এবং আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কাজগুলো শুধু শিল্প নয়, এটি ছিল ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর।
কার্টুন আঁকা শিখতে চান? আজই এনরোল করুন আমার কার্টুন কোর্সে। ক্লিক করুন।
আসুন পরিচিত হই | LET’S CONNECT!
Naji al-Ali: The Voice of Palestinian Struggle
On July 22, 1987, Naji al-Ali, the Palestinian cartoonist and creator of the iconic character Handala, was shot outside the London office of the Kuwaiti newspaper Al-Qabas. After being in a coma until August 29, he succumbed to his injuries. Though initially, the perpetrators were unknown, British police later arrested a Palestinian named Ismail Sowan. Sowan confessed to being a double agent working for both the Israeli intelligence agency Mossad and the Palestine Liberation Organization (PLO).
The assassination enraged then-British Prime Minister Margaret Thatcher, who ordered the closure of Mossad’s base station in London and expelled three Israeli diplomats, including an attaché linked to assisting the killers. In 2017, this cold case was reopened, sparking fresh interest in al-Ali’s life and legacy.
But who was Naji al-Ali, and why does his cartoon character Handala remain so significant even today?
The Life and Legacy of Naji al-Ali
Naji al-Ali was a renowned Palestinian cartoonist celebrated for his bold and uncompromising political art. Through his powerful cartoons, he captured the struggles, hardships, and hopes of the Palestinian people. His work transcended borders, resonating deeply not only in the Arab world but also globally, making him one of the most influential and courageous artists of his time.
Early Life and Refugee Experience
Born in 1938 in the Galilee region of Palestine, Naji al-Ali spent his early years in his homeland. However, his life took a drastic turn in 1948 when the Israeli occupation forced him and his family to flee to a refugee camp in Lebanon. This harsh reality of displacement and loss shaped his worldview and became the foundation of his artistic expression.
The experiences of living as a refugee inspired him to depict the unrelenting pain, resilience, and dignity of the Palestinian people in his art.
A Journey into Cartooning
Naji al-Ali’s journey as a cartoonist began in the refugee camps of Lebanon, where his talent for drawing was discovered by Ghassan Kanafani, a prominent Palestinian writer. Kanafani published one of al-Ali’s cartoons in the magazine Al-Hadaf, marking the beginning of his illustrious career.
His cartoons gained widespread acclaim for their stark honesty and fearless criticism of political corruption, Israeli occupation, and international complacency. Unlike many artists of his time, al-Ali never hesitated to address uncomfortable truths, making his work both impactful and controversial.
Handala: The Symbol of Resistance
Among all of al-Ali’s creations, Handala remains the most iconic. Depicted as a ten-year-old refugee boy with his back turned and hands clasped behind him, Handala became a universal symbol of Palestinian resistance and resilience.
Al-Ali explained that Handala would never grow up until Palestine was free. The character’s posture—facing away from the viewer—symbolized the world’s indifference to the plight of Palestinians. Through Handala, al-Ali gave a voice to the voiceless and immortalized the collective pain and hope of his people.
Courage in Art
Naji al-Ali’s work was unapologetically bold. He frequently criticized Arab leaders for corruption and complacency, as well as the Israeli occupation. This unflinching honesty earned him both admiration and animosity. Despite threats and censorship, he remained committed to using his art as a tool for truth and justice.
His cartoons were not just illustrations; they were piercing commentaries on politics, human rights, and freedom. They sparked dialogue, challenged power structures, and inspired countless individuals to stand up against oppression.
The Assassination and Its Impact
The assassination of Naji al-Ali was a tragic loss for the Palestinian cause and the world of political art. His death underscored the dangers faced by those who dare to speak truth to power. Yet, his legacy endures through his work, which continues to resonate with people fighting for justice and freedom around the globe.
The reopening of his case in 2017 reignited discussions about his influence and the ongoing relevance of his message. Handala, his most enduring creation, remains a symbol of defiance, representing the unyielding spirit of Palestinians in their struggle for liberation.
Why Naji al-Ali and Handala Still Matter
Decades after his death, Naji al-Ali’s work continues to hold profound significance. His cartoons are a timeless reminder of the power of art to challenge oppression, amplify marginalized voices, and inspire change. Handala stands as a testament to the resilience of the Palestinian people, serving as a rallying cry for justice and human rights.
In a world where the Palestinian struggle remains unresolved, al-Ali’s art is as relevant as ever. It calls on the global community to confront injustice, question complacency, and strive for a more equitable future.
Final Thoughts
Naji al-Ali’s life and work exemplify the courage and resilience needed to fight for justice in the face of adversity. Through Handala and his cartoons, he immortalized the pain, hope, and determination of the Palestinian people. His legacy serves as a powerful reminder that art can be a force for resistance, truth, and change.
As the world remembers Naji al-Ali, his message continues to inspire generations to speak out against injustice and stand in solidarity with those who are oppressed. His story is not just about Palestine; it is about the universal fight for dignity, freedom, and human rights.
আসুন পরিচিত হই | LET’S CONNECT!